বৃহস্পতিবার, ৪ আগস্ট, ২০১৬

আসত্তি

কোন এক রাতে হতবিহ্বল মাতাল জাহাজী
ডাঙা খুঁজে নিয়েছিলো তোমার সুগঠিত বুকে
মাঝরাতে অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশের প্রহেলিকায়
নিশ্চিত গেঁথেছিলো নোঙর অতল তলে
কোন এক রাতে মৎস্যকন্যার মায়া আহ্বানে
প্রবাল প্রাচীরে ক্ষত-বিক্ষত হয়েছিলাম খুব
তুমি আর মৎস্যকন্যা, উভয়েই ছিলে নিয়তি
জাহাজী আর আমি সেজেছিলাম ঈশ্বর

ঈশিত্ব

সকলই আমাতে স্থির কিংবা লীন
দেবাদিদেবের ছায়া লীলা নখদর্পনে
কালচক্রের আহবান, দৃষ্টিপটে 
ক্রুর হাসিতে চৌচির ক্রন্দসী 
অস্তিত্বে সমগ্রের নিস্তরন অবরোহন
"আমিই ঈশ্বর"
হরণ কিবা সমর্পণ!

হৃদোধীত

সত্যি!বর্নান্ধ কি জানবে অনুভূতির রঙ
বাস্তবতার পিছুটানে ব্যবধানের অহং
আর্দ্র দৃষ্টি কিংবা কাঙ্খিত পিছুডাক
মৃত দিন কিংবা ভুল স্বপ্নে নির্বাক
সন্ধানী শেকড়ে মিশে রুঢ় সত্য
আসত্তির হৃদয়পুরে অনৈক্য

ভঙ্গুর

হাত ছাড়িয়ে নিবি জানতাম 
প্রিয় কাঁঠালচাপা তোলা থাকে রোজ
ভীষণ কোলাহলে বড্ড নিখোঁজ
নীল শিফনটা কল্পনায় রয় ভাঁজে
হাতে নিই, চোখ জল মুছি
কট্টর বাস্তবের সহজ শিকার সূচী
টুকরো শখ আর ঠুনকো প্রতিজ্ঞায়
তুই সীমাহীন সম্ভাবনায় ব্যস্ত
গোছানো বা অবিন্যস্ত

নয়না

কোন মানবীর চোখ এমনও হয়?
ভর দুপুরে সন্ধ্যে নামায় আচম্বিতে স্বপ্নময়
এতোটা গহীন, এতোটা হারিয়ে যাওয়ার!
শিকারী ও চোখে আমি সহজতম শিকার
চিত্রার্পিত হই কিয়ৎকালের জন্যে!
শতরুপীনি সে তবু সাবলীল সাধারণ্যে
আমার সকল গেলো ও চোখ অবগাহনে
ও চোখ কথা বলে, ভাসায় নিঃশব্দ প্লাবনে
প্রতিনিয়ত শুদ্ধ কটাক্ষে কাটছে মধুর ধারে
ও চোখে খুন হই রোজ আমি নির্বিচারে!

কালের লিখন

আমার ব্যাপ্তি অনন্তকাল ধরে
যখন ধ্বসে পড়ি, তুমি ভেঙে চৌচির হও
তৃপ্ত করেছি, রিক্ত করেছি, করেছি সম্পূর্ণ
উদার হয়ে বিলিয়েছি, কেড়েছিও প্রয়োজনে
আমি সমুদ্রসম গভীর, পর্বতের ন্যায় উচ্চ
মহাশূন্যকে ছাড়িয়ে আমার বিশালত্ব
আমি চাইলেই গ্রহণ করতে পারি, মুহূর্তেই ত্যাগ
আমি বিবর্ধিত হই চাইলেও, না চাইলেও
আমাকে গ্রহণ করবে কিংবা প্রত্যাখান
তা নিয়ে ভাবিত নই
আমাতেই বেঁচে থাকতে হবে তোমায়
মৃত্যুও আমাতেই
আমিই নিয়তি, অমোঘ সমাপ্তি

হৃদয়েশ্বর

আমি যে খুব মাপা প্রেমিক প্রশ্নোত্তরে নয় বরং দুর্লঙ্ঘ্যে স্বচ্ছন্দ নির্ভীক শরীরী সৌন্দর্য্য মাপার প্রজ্ঞা নেই নির্ভুল হিসেব কষে দ্বিষত কালের খেই নতজানু সম্প্রদায়ে সর্বোত্তম কাঙ্খিতা তুমি হরণ নয়, বরং জয়ে তৃষ্ণার্ত এ অন্তর্যামী